Category Archives: ইসলামী ইতিহাস

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : মুসআব ইবনে উমাইর (রাযিআল্লাহু আনহু)

নাম: মুসআব, কুনিয়াত আবু মুহাম্মদ। ইসলাম গ্রহণের পর লকব হয় মুসআব আল-খায়ের। পিতা ’উমাইর এবং মাতা খুনাস বিনতু মালিক। মক্কার প্রখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুসআব ইবনে উমাইর। সমস্ত আরব অঞ্চলে যে সকল পরিবার সম্পদ ও বিত্তের দিক থেকে শীর্ষে ছিল, মুসআবের পরিবার ছিল তাদেরই একটি। বিপুল প্রাচুর্য আর বিলাসিতার মধ্য দিয়ে তার শৈশব ও কৈশোর… Read More »

সালাফ পরিচিতি: ইবরাহিম বিন আদহাম রহঃ

১৬২ হিজরী। ঘন অন্ধকারের মাঝে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে দ্বীপটির তীরে। নির্জন সৈকতে হু হু করে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বাতাসে মিশে আছে সমুদ্রের নোনা গন্ধ। সাগর তীর থেকে একটু দূরে অবস্থিত একটি তাবুতে একজন বৃদ্ধ শুয়ে আছেন। তার পাশে একত্রিত হয়েছে তার কজন শিষ্য। বৃদ্ধের অবস্থা আশংকাজনক। দিনের বেলা থেকে তার একটানা ডায়রিয়া হচ্ছে। ক্রমেই… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহর (রা.)

উম্মাহর বিশ্বস্ত ব্যক্তি . ‘আমানত’ একটি পারিভাষিক শব্দ। যার অধীনে সকল প্রশংসনীয় গুণাবলী এসে যায়। এ জন্যই তাে যৌবনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপাধি হয় ‘আল-আমীন’। যা ‘আমানাহ’ শব্দমূল থেকে উদ্গত। সুতরাং বুঝা যায়, শব্দটি ব্যাপক অর্থবােধক। . সততা ও সত্যবাদিতা, স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা, দৃঢ়তা ও অবিচলতা এবং বদান্যতা ও মানবিকতা ইত্যাদি সব ধরনের গুণই… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা

আইয়ামে জাহিলিয়াত। চারিদিকে নারী পুরুষ সকলে অশ্লীলতার স্রোতে গা ভাসিয়েছে। কিন্তু এর ভিড়েও একজন নারী তাঁর আত্মমর্যাদাবোধ, শালীনতা, ব্যক্তিত্ব ও নীতিতে ছিলেন অটুট। তৎকালীন সময়ে সকল প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আরবের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও সম্পদশালীদের একজন। ছিলেন সকলের মধ্যমনী, অত্যন্ত দানশীল রমণী। ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর পবিত্র চরিত্র, নম্রতা ও ব্যবহারের কারণে তাঁকে… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : সুমাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা

মক্কার আল-বাতহা উপত্যকা, এ উপত্যকার উত্তপ্ত বালির মাঝে লোহার বর্ম পড়িয়ে শুইয়ে রাখা হত সুমাইয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা), তাঁর স্বামী ইয়াসির (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), পুত্র আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াসির (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে। মূলত ইসলাম গ্রহণের কারণে কাফির সর্দার আবু জেহেল সুমাইয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) ও তাঁর পরিবারের ওপর শুরু করে অকথ্য নির্যাতন। আর… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : সা’দ ইবনে ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু

পুত্রের ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় রাগে-দুঃখে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে ফেললেন মা। মায়ের অবস্থা দেখে ঘরের এক কোণে নীরবে বসে রইলেন পুত্র। কিছুক্ষণ শোরগোলের পর পুত্রকে ইসলাম ত্যাগ করার কঠোর নির্দেশ দিয়ে মা বললেন, “যতক্ষণ না সে মুহম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ধর্ম ত্যাগ করবে, ততক্ষণ আমি কিছু খাবো না এবং রোদ থেকে ছায়াতেও… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিআল্লাহু আনহু

চারিদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়লো মুশরিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বন্দী অথবা হত্যা করে ফেলেছে। আর এ খবর শোনা মাত্রই একজন বালক ক্ষিপ্ত হয়ে উন্মুক্ত তরবারি হাতে হাজির হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে?” তিনি উত্তর দিলেন, “শুনেছি, আপনি বন্দী অথবা… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু

বুসরা-র বাজারে একজন খৃস্টান ধর্মযাজক এসে ঘোষণা করলেনঃ “হে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়! আপনারা জিজ্ঞেস করুন বাজারে আগত লোকদের মধ্যে কোনো মক্কাবাসী আছে কিনা।” তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নিকটেই ছিলেন। তিনি দ্রুত তার কাছে গিয়ে বললেনঃ “জ্বি, আমি মক্কার লোক।” ধর্মযাজক : তোমাদের মধ্যে আহমাদ কি আত্মপ্রকাশ করেছেন? তালহা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) : কোন আহমাদ? ধর্মযাজক :… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহা

১. আবু তালহা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর স্নেহের শিশুপুত্র আবু উমায়ের ইন্তিকাল করলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী বাড়ির লোকদের বললেন, “তোমরা আবু তালহা কে তাঁর পুত্রের ব্যাপারে কিছু বলো না। আমি স্বয়ং তাঁকে এ কথা বলব।” আবু তালহা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কাজ শেষে বাড়ি ফিরলেন। স্ত্রী তাঁকে রাতের খাবার পরিবেশন করালেন। এরপর সাজসজ্জা করে তাঁর কাছে এলেন এবং উভয়ে… Read More »

উম্মাহর নক্ষত্ররাজি : উম্মুল মুমিনীন হাফসা বিনতে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহা

উম্মুল মুমিনীন হাফসা বিনতে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহা) -“অধিক রোযাদার এবং অধিক সালাত আদায়কারী মহিয়সী রমণী” . হাফসা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) সম্পর্কে জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) প্রসংগক্রমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেন, “হাফসা খুব বেশি রোযা পালনকারিনী এবং রাতে বেশি বেশি সালাত আদায়কারিনী। জান্নাতে তিনি আপনার স্ত্রী হবেন।” . আল্লাহু আকবার। হাফসা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) ছিলেন ইবাদাতে… Read More »