হাদীস (ঘটনা) ১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) যখন অন্তিম রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমিরুল মুমিনীন হযরত উসমান (রা) তাঁকে দেখতে যান। তখন তাদের মধ্যে শিক্ষাপ্রদ কথোপকথন হয়, তা নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো:
হযরত উসমান: আপনার অসুখটা কি?
হযরত ইবনে মাসঊদ (রা): আমার পাপসমূহই আমার অসুখ।
হযরত উসমান: আপনার বাসনা কি?
হযরত ইবনে মাসঊদ (রা): আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি।
হযরত উসমান: আমি আপনার জন্য কোন চিকিৎসক ডাকব কি?
হযরত ইবনে মাসঊদ (রা): চিকৎসকই আমাকে রোগাক্রান্ত করেছেন।
হযরত উসমান: আমি আপনার জন্য বায়তুল মাল থেকে কোনো উপঢৌকন পাঠিয়ে দিবো কি?
হযরত ইবনে মাসঊদ (রা): এর কোনো প্রয়োজন নেই।
হযরত উসমান: উপঢৌকন গ্রহণ করুন।তা আপনার পর আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে।
হযরত ইবনে মাসঊদ (রা): আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার কন্যারা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে? কিন্তু আমি এরূপ চিন্তা করিনা।কারণ আমি কন্যাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতিরাতে সূরা ওয়াক্বিয়া পাঠ করে। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়া পাঠ করবে, সে কখনো উপবাস করবে না।”
– মা’রেফুল কোরান এ তাফসীর ইবনে কাছীর থেকে উদ্ধৃত
হাদীস ২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়া পাঠ করিবে, সে কখনো অভাবে পড়িবে না।”
– তাফসীর ইবনে কাছীর





