তিরমিযী শরীফ ইফা: ১৫২১। হাসান ইবনু আলী (রহঃ) সালমান ইবনু আমির যাববী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতি শিশর সঙ্গেই রয়েছে আকীকার বিধান। সুতরাং তার পক্ষ থেকে তোমরা রক্ত প্রবাহিত কর (যবাহ কর) এবং তার থেকে ময়লা (জন্ম সময়ের চুল ইত্যাদি) বিদূরতি কর।
তিরমিযী শরীফ ইফা: ১৫২২। হাসান ইবনু আলী আল-খাললাল (রহঃ) উম্মু কুরয (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন তিনি বললেন, ছেলের জন্য দুটো ছাগল আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকীকা দিতে হবে। আকীকার পশু নর হোক বা মাদী হোক তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না।
তিরমিযী শরীফ ইফা: ১৫২৫। মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়অ আল কুতাঈ (রহঃ) আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসানের পক্ষ থেকে ইকটি ছাগল আকীকা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, হে ফাতিমা, এর মাথা মুন্ডন কর এবং তার চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সাদকা করে দাও। অনন্তর আমি তা ওজন করলাম। এক দিরহাম বা এক দিরহামের কিছু অংশ পরিমাণ হল তা।
তিরমিযী শরীফ ইফা: ১৫২৮। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আকীকার সাথে শিশুর বন্ধক। তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে পশু যবাহ করা হবে। তার নাম রাখা হবে। তার মাথা মুন্ডন করা হবে।”
আলিমদের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তার শিশুর পক্ষ থেকে সপ্তম দিন আকীকা করা মুস্তাহাব বলে মত প্রকাশ করেছেন। সপ্তম দিন যদি প্রস্ত্তত না হয় তবে চতুর্দশ দিনে, সে দিনে প্রস্ত্তত না হতে পারলে একবিংশতিতম দিনে আকীকা দিবে। কুরবানীতে যেই ধরণের ছাগল যবাই করা জাইয আকীকাতেও সে ধরণের ছাগল না হলে তা যবাহ করা যথেষ্ট বলে গণ্য হবে না।
বুখারী শরীফ ইফা: ৫০৭১। ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বরকতের দু আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার বড় সন্তান।
বুখারী শরীফ ইফা: ৫০৭৩। ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্হায় আমি বেরিয়ে মদিনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে তাকে তার কোলে রাখলাম। তিনি একঁটি খেজুর আনতে বললেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই লালাই সর্ব প্রথম তার পেটে প্রবেশ করল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহনীক করলেন এবং তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন। (হিজরতের পরে) ইসলামে সেই ছিল প্রথম জন্মগ্রহনকারী। তাই তার জন্য মুসলিমরা অতন্তে খুশী হয়েছিলেন কারন, তাদের বলা হতো ইয়াহুদীরা তোমাদের যাদু করেছে তাই তোমাদের সন্তান হয় না।
বুখারী শরীফ ইফা: ৫০৭৬। আবূ নুমান (রহঃ) সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে! সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ আকীকার জন্তু যবাহ) কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।






