বুখারী শরীফঃ
৫২৭৯ মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহীম (রহঃ)ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। শিঙ্গা লাগানোতে, মধু পানে এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।
৫২৯২ মূসা’দ্দাদ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাধা অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।
তিরমীযি শরীফঃ
২০৫৭. আবদুল কুদ্দুস ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ………. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাড়ের দুই পাশের রগে এবং কাঁধে রক্ত মোক্ষম করাতেন। আর তিনি মাসের সতের,উনিশ এবং একুশ তারিখ রক্ত মোক্ষন করাতেন।
২০৫৮. আহমাদ ইবন বুদায়ল ইবন কুরায়শ ইয়াসী কুফী (রহঃ) ………. ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মি‘রাজ-এর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, তিনি তখন ফিরিশতাগণের যে দলের পাশ দিয়েই গেচেন সে দলই তাঁকে বলেছেঃ আপনি আপনার উম্মাতকে রক্ত মোক্ষণের নির্দেশ দিবেন।
আবু দাউদ শরীফঃ
৩৮১৭. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ……. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – তোমরা যে সমস্ত বস্তু দিয়ে চিকিৎসা কর, তাঁর মধ্যে শিংগা লাগানো উত্তম।
৩৮১৮. মুহাম্মদ ইবন ওযীর দিমাশকী (রহঃ) – – – সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচারিকা ছিলেন। তিনি বলেনঃ যখন কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মাথা ব্যাথার কথা বলতো, তখন তিনি তাকে বলতেনঃ তুমি শিংগা লাগাও। এর যখন কেউ পায়ে ব্যথার কথা বলতো, তখন তিনি তাকে বলতেনঃ তোমার দু’পায়ে মেহেদীর রং লাগাও।
৩৮১৯. আবদুর রহমান ইবন ইবরাহীম – – – আবূ কাবশা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মাথার সিঁথি্তে এবং দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগাতেন এবং বলতেনঃ যে ব্যক্তি এসব স্থান থেকে দূষিত রক্ত বের করে ফেলবে, সে কোন রোগের জন্য অন্য চিকিৎসা না করলেও তাঁর কোন ক্ষতি হবে না।
৩৮২১. আবু তাওবা রাবী’ ইবন নাফি (রহঃ) – – – আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (চন্দ্র মাসের) সতের, উনিশ ও একুশ তারিখে শিংগা লাগাবে, তা তাঁর জন্য সমস্ত প্রকার রোগ মুক্তির কারণ হবে।
৩৮২২. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) – – – আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁর পিতা তাঁর পরিবার পরিজনদিগকে মঙ্গলবারের দিন শিংগা লাগাতে নিষেধ করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করতেন যে, মঙ্গলবারের দিন হলো শরীরে রক্তের ধারা পরিবর্তনের দিন এবং এ দিনের মধ্যে এরূপ বিশেষ একটি সময় আছে, যখন রক্ত বন্ধ হয় না।
৩৮২৪. মুসলিম ইবন ইবরাহীম (রহঃ) – – – – জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পায়ের নলিতে আঘাত লাগার কারণে সেখানে শিংগা লাগান।
ইবনে মাজাহ শরীফ (ইফা):
৩৪৮৭। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে নাফে! আমার রক্তে উচ্ছাস দেখা দিয়েছে (রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে) সুতরাং আমার জন্য একজন রক্তমোক্ষণকারী খুঁজে আন, পারো যদি এমন কাউকে আনবে যে আমার জন্য সদাশয় হবে। বয়স্ক বা অল্পবয়স্ক এনো না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ বাসিমুখে রক্তমোক্ষণ করানো উত্তম, কেননা তাতে শিফা ও বরকত রয়েছে এবং তা জ্ঞান ও স্মৃতি বৃদ্ধি করে। সুতরাং আল্লাহর বরকত লাভের আশায় তোমরা বৃহস্পতিবার রক্তমোক্ষণ করাও। এবং এ ব্যাপারে বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার বেছে নেয়া থেকে বিরত থাকো। সোমবার ও মঙ্গলবারে রক্তমোক্ষণ করাও, কেননা তা সেইদিন, যেদিন আল্লাহ আইয়ুব (আ) কে শিফা দেন করেন। আর বুধবার তাকে রোগাক্রান্ত করেন। আর কুষ্ঠ ও শ্বেতরোগ বুধবার দিনে বা রাতেই শুরু হয়।






