প্রশ্ন ৪৪১০: আমাদের গ্রামে একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি একটি বিপদে পড়ে তার জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়। পরবর্তীতে তিনি ঐ ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এদিকে তার সংসারের খরচের জন্য জমিরও প্রয়োজন। কিন্তু বিষয়টি লজ্জায় তিনি কারো কাছে প্রকাশ করেননি। আমরা দুই-তিনজন বিষয়টি জানতে পেরে তার অগোচরে ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাওনাদারকে অনুরোধ করি, তিনি যদি আমাদের কথা কাউকে না বলেন তাহলে আমরা ঐ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ করে দিব। তিনি এতে রাজি হয়েছেন। এখন আমি যদি আমার যাকাতের অর্থ দিয়ে তার অগোচরে ঋণ পরিশোধ করে দেই তাহলে আমার যাকাত আদায় হবে কি? যদি আদায় না হয় তাহলে কি শুধু তাকে কোনভাবে জানিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট হবে না তার হাতেই টাকা দিতে হবে?
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি যদি যাকাত গ্রহণের যোগ্য হয় তাহলে তার অনুমতিক্রমে যাকাতের অর্থ দ্বারা তার ঋণ আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে যাকাত আদায়ের জন্য তার অনুমতি নেওয়াই যথেষ্ট। অর্থাৎ একথা বলাই যথেষ্ট যে,আমরা আপনার ঋণ আদায় করে দিচ্ছি। যাকাতের অর্থ সরাসরি তার হাতে দেওয়া জরুরি নয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়া কারো ঋণ পরিশোধ করলে যাকাত আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/২৬৮; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৬৮; ফাতহুল কাদীর ২/২০৮
প্রশ্ন ১৯৪৩:আমি আমার অফিসের গরীব শ্রমিকদের জন্য পরিচিত লোকজনের নিকট থেকে যাকাতের টাকা এনে তাদের দিয়ে থাকি। এটা তাদের বেতন ও শ্রমের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। একজন গরীব শ্রমিক আমার কাছ থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিল,কিন্তু সে তা পরিশোধ করতে পারছিল না। আমি তাকে বললাম, তোমাকে কিছু যাকাতের টাকা দিব। তা দিয়ে তুমি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিও। সে ঐ টাকা দিয়ে আমার ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছে। জানার বিষয় এই যে,শ্রমিকের সাথে এ ধরনের কথার কারণে কি যাকাত আদায়ে কোনো অসুবিধা হবে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যাকাত আদায় হয়ে গেছে। ঐ শ্রমিকের সঙ্গে ঋণ আদায়ের বিষয়ে পূর্ব আলোচনা করার কারণে যাকাত আদায়ে কোনো সমস্যা হয়নি।
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৬৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৬/৩৯২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/১২১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪৩; আলমুহীতুল বুরহানী ২১/৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৪৫






