উম্মাহর নক্ষত্ররাজি: বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মুক্তির কাহিনী

By | Wed 16 Muharram 1440AH || 26-Sep-2018AD

কোথায় আমরা আর কোথায় আমাদের স্বর্নালী ইতিহাস।

মক্কার তপ্ত বালুর উপর পুড়ছে প্রভাবশালী নেতা উমাইয়া ইবনে খালাফ এর কৃষ্ণাঙ্গ দাস বিলাল ইবনে রাবা’হ। মনিব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দাসের শাস্তি নিশ্চিত করছে।
.
দৃশ্যপটঃ এক
_________
উমাইয়া ব্যথায়-কষ্টে ছটফট করতে থাকা বিলালকে লোভ দেখাচ্ছেঃ ‘মাত্র একবারের জন্য বলো – তোমার রব মিথ্যা, তোমার দ্বীন মিথ্যা, তোমার রাসুল মিথ্যা। আমি তোমার শাস্তি মিটিয়ে দেবো।’
.
বিলাল ইবনে রাবা’হ প্রতিবার লোভের বিপরীতে সবটুকু শক্তি একত্র করে চিৎকার দিয়ে বলছেনঃ “আহাদুন আহাদ। আহাদুন আহাদ। (আমার রব এক। আমার রব এক।)”
.
পরবর্তীতে সাহাবীরা যখন বিলালকে জিজ্ঞেস করলেন – “এত কিছু থাকতে আপনি কেন ‘আহাদুন আহাদ’ স্লোগানটি চিৎকার করে বলতেন?”, বিলাল উত্তর দিলেন – “কারণ এই স্লোগানটি শুনলেই পাপিষ্ঠ উমাইয়া সবচেয়ে বেশী রাগান্বিত বোধ করতো।”
.
.
দৃশ্যপটঃ দুই
_________
আবু বকর আস-সিদ্দীক্ব ছুটে এলেন বিলালকে উমাইয়ার কাছ থেকে কিনে নিয়ে অসহ্য কষ্টের ইতি টানতে। উমাইয়া ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে হাঁকালোঃ
.
– ৪০ উকিয়া স্বর্ণ হচ্ছে বিলালের দাম।
– আচ্ছা, আমি কিনে নিলাম।
– হে আবু বকর, তুমি যদি রাজী না হতে, তবে আমি এই দামের অর্ধেকেই (২০ উকিয়া) বিলালকে বিক্রি করে দিতাম।
– হে উমাইয়া; তুমি যদি রাজী না হতে, তবে আমি এর দ্বিগুন দাম (৮০ উকিয়া) দিয়ে হলেও বিলালকে কিনে নিতাম।
.
.
দৃশ্যপটঃ তিন
_________
আবু বকর আস-সিদ্দীক্ব (রাদিআল্লাহু আনহু) উমাইয়া’র কাছ থেকে কিনে নিয়ে পরবর্তী মুহূর্তেই উপস্থিত সবাইকে সাক্ষী রেখে বিলাল ইবনে রাবা’হ (রাদিআল্লাহু আনহু) কে বুকে টেনে নিয়ে ঘোষণা দিলেনঃ
.
“বিলালকে আমি মুক্তি দিলাম। সে আমাদের ভাই।”
.
.
আল্লাহু আকবার কাবীরা! রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুম।
.
এগুলো রূপকথা নয় বন্ধু।
এগুলো ফিকশন-ফ্যান্টাসী নয় বন্ধু।
.

#KnowYourHeros
#আমরা_সেই_জাতি
.
(Collected Post)

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*