মুহাররম মাসের / আশূরার রোযা

By | Wed 26 Rabi Al Awwal 1437AH || 6-Jan-2016AD

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “মাহে রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা, আল্লাহর মাস মুহাররামের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায।”  (মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, দারেমী, রিয়াদুস সালেহীন)


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ  ﷺ বলেছেন, রামাযান মাসের সিয়ামের পর সবচে ফযিলতের সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহাররামের সিয়াম।   (তিরমিযী শরীফ  (ইফা): ৭৩৮, ইবনু মাজাহ, মুসলিম)


…তিনি (রাসুলুল্লাহ ﷺ) পূনরায় বললেন, প্রতি মাসে তিন দিন সাওম পালন করা এবং রমযান মাসের সাওম এক রমযান থেকে পরবর্তী রমযান পর্যন্ত সারা বছর সাওম পালনের সমান।

আর আরাফাত দিবসের সাওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে,তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে।

আর আশূরার সাওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাবে। (সহীহ মুসলিম (ইফা) :: অধ্যায় ১৪ (সিয়াম) :: হাদীস নং ২৬১২)


রাসুলুল্লাহ ﷺ যখন আশূরার দিন সিয়াম পালন করেন এবং লোকদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন তখন সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইয়াহূদ এবং নাসারা এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন,ইনশা আল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও সিয়াম পালন করব বর্ণনাকারী বলেন, এখনো আগামী বছর আসেনি, এমতাবস্হায় রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম (ইফা) :: অধ্যায় ১৪ (সিয়াম) :: হাদীস নং ২৫৩২)


আলী ইবন হূজর (রহঃ) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

…… একবার আমি রাসূলুল্লাহ এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এই সময় জনৈক ব্যক্তি এসে তাকে প্রশ্ন করে বলল হে আল্লাহর রাসূল ! রামাযান মাসের পর আর কোন মাসের সিয়াম পালন করতে আপনি আমাকে নির্দেশ দেন? রাসূলুল্লাহ বললেন, রামাযান মাসের পর তুমি যদি আরো কোন রোযা রাখতে চাও তবে মুহাররামের সিয়াম পালন করো। কেননা, এই মাসটি হলো আল্লাহর মাস। এতে এমন একটি দিন আছে যে দিন আল্লাহ তায়ালা এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছিলেন এবং আগামীতেও তিনি আরেক সম্প্রদায়ের তওবা এই দিনে কবুল করবেন। (তিরমিজী শরীফ (ইফা) :: খন্ড ৩ :: সিয়াম অধ্যায় :: হাদিস নং ৭৩৯)


ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

রাসূল  মদিনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীগণ ‘আশূরার দিনে সাওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: কি ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সাওম পালন কর কেন?)

তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা (আ:) সাওম পালন করেন।

রাসূল  বললেন: আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি দিনে সাওম পালন করেন এবং সাওম পালনের নির্দেশ দেন। (বুখারী শরিফ (ইফা): ১৮৭৮)


ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ  ইরশাদ করেন: ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’ [মুসনাদে আহমদ :: ১/২৪১ হাদিস নম্বর ২১৫৪]

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*