সহিহ মুসলিম (ইফা): হাদিস নং ৩৫০৭. আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়ার সব কিছুই সম্পদ। তবে দুনিয়ার মধ্যে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী।
কানযুল উম্মাল ১৬:২৭৩।। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ যাকে নেককার-দ্বীনদার স্ত্রী দান করেছেন, তাকে, অর্ধেক দ্বীন দ্বারা সাহায্য করেছেন। এখন তার কর্তব্য হলো সে ত্বাকওয়া ও খোদাভীরুতা দ্বারা বাকি দ্বীন অর্জন করুক।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ২০৪৩. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ……….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ (সাধারণত) রমণীদেরকে চারটি গুণের অধিকারিণী দেখে বিবাহ করা হয়। যথাঃ (ক) তার ধন- সম্পদ, (খ) তার বংশমর্যাদা, (গ) তার সৌন্দর্য, (ঘ) তার ধর্মপরায়ণতার জন্য । তোমরা ধর্মপরায়ণা নারীকে বিবাহ করে ধন্য হও, অন্যথায় তোমার উভয় হাত অবশ্যই ধুলায় ধূসরিত হবে। (অর্থাৎ তুমি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে। হাদীসে ধর্মপরায়ণা নারীকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।)।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ২০৭৮. মুসাদ্দাদ ………. জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন স্ত্রীলোককে বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠাবে, তখন যদি তার পক্ষে সম্ভব হয়, তবে সে যেন তার বংশ, মাল ও সৌন্দর্য ইত্যাদি দর্শন করে, যা তাকে বিবাহে উৎসাহ দেয়। রাবী বলেন, অতঃপর আমি জনৈকা কুমারীকে বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেই এবং আমি গোপনে তাকে দর্শন করি, এমনকি তার চেহারাও দেখি, যা আমাকে তার সাথে বিবাহে প্রলুব্ধ করে । অতঃপর আমি তাকে বিবাহ করি।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ২০৪৬. আহমদ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) …………. মা‘কাল ইবন ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলে, আমি এক সুন্দরী এবং সদ্বংশীয়া রমনীর সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সে কোন সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা) । আমি কি তাকে বিবাহ করব? তিনি বলেন, না। অতঃপর সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে নিষেধ করেন। পরে তৃতীয়বার সে ব্যক্তি এলে তিনি বলেন, তোমরা এমন স্ত্রীলোকদের বিবাহ করবে, যারা স্বামীদের অধিক মহাব্বাত করে এবং অধিক সন্তান প্রসব করে। কেননা আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে (পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর) গর্ব প্রকাশ করব।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ২০৪৮. মুসাদ্দা (রহঃ) ………. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যিনাকার পুরুষ, যিনাকারিণী স্ত্রীলোক ব্যতীত অন্যকে বিবাহ করবে না।
সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ২০৭৭. আল হাসান ইবনে আলী …………….. ইবনে উমার (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। আর কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়ের সময়ে ক্রয় না করে। অবশ্য সে যদি অনুমতি দেয় তবে সেটা আলাদা ব্যাপার ।
হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রা. নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দরবারে গিয়ে আরয করেন, “নারীদের পক্ষ থেকে আমি আপনার কাছে আগমন করেছি। (আল্লাহর রাসূল!) আল্লাহ তাআলা আপনাকে নারী ও পুরুষ সবার কাছেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন।। আমরা আপনার উপর ও আপনার প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। আমরা নারীরা তো ঘরের কাজ-কর্ম আঞ্জাম দেই, সন্তান গর্ভে ধারণ করি (তাদের লালন-পালন করি)। আমাদের উপর (বিভিন্ন ইবাদাতের ক্ষেত্রে) পুরুষদের ফযীলত রয়েছে; তারা জামাতের সাথে নামায আদায় করে, রোগী দেখতে যায়, জানাযায় শরীক হয়, একের পর এক হজ্ব করে, সবচেয়ে বড় ফযীলতের ব্যাপার হল তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে পারে। তো আমরা কীভাবে তাদের মত ফযীলত ও সাওয়াব লাভ করতে পারব??”
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন সাহাবায়ে কেরামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কোনো দ্বীনী বিষয়ে তোমরা কি কোনো নারীকে এর চেয়ে সুন্দর প্রশ্ন করতে শুনেছ কখনো !”
এরপর নবীজী সে নারীকে লক্ষ করে বললেন, “তুমি আমার কথা ভালোভাবে অনুধাবন কর এবং অন্যান্য মহিলাদেরও একথা জানিয়ে দাও যে, স্বামীর সাথে ভালো আচরণ করা, তার সন্তুষ্টি কামনা করা ও তার পছন্দনীয় কাজ করা ঐসকল আমলের সমতুল্য সাওয়াব ও মর্যাদা রাখে।”
– শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৩৬৯; মুসনাদে বাযযার, হাদীস ৫২০৯






