সূরা মূলকের ফযীলত

By | Sat 17 Jumada Al Oula 1439AH || 3-Feb-2018AD

এই সুরাকে হাদীসে ওয়াকিয়া ও মুনজিয়া বলা হয়েছে। ওয়াকিয়া শব্দের অর্থ রক্ষাকারী এবং মুনজিয়া অর্থ মুক্তিদানকারী।
হাদীস ১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এই সূরা আযাব রোধ করে এবং আযাব থেকে মুক্তি দেয়। যে এই সূরা পাঠ করে, তাকে এ সূরা কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে।”
– কুরতুবীর বরাতে মারেফুল কোরানে বর্ণিত

হাদীস ২। হযরত জাবির (রা) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলীফ লাম মীম তানযীল ও তাবারাকাল্লাযী না পড়িয়া কখনো ঘুমাইতেন না
– তিরমিযীর বরাতে তাফসীর ইবনে কাছীর এ বর্ণিত

হাদীস ৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার আন্তরিক বাসনা এই যে, সূরা মূলক প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে গ্রথিত থাকুক।”
– কুরতুবীর বরাতে মারেফুল কোরানে বর্ণিত, তাবারানীর বরাতে তাফসীর ইবনে কাছীর

হাদীস ৪। হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তায়ালার কিতাবে একটি সূরা আছে, যার আয়াত তো মাত্র ত্রিশটি কিন্তু কিয়ামতের দিন এই সূরা এক এক ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করবে এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দাখিল করবে; সেটা সূরা মূলক।
– কুরতুবীর বরাতে মারেফুল কোরানে বর্ণিত

হাদীস ৫। হযরত আনাস (রা) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ” কুরআনে এমন একটি সূরা আছে যাহা আল্লাহর সহিত ঝগড়া করিয়া তাহার পাঠকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করাইয়াছে। – তাবারানীর বরাতে তাফসীর ইবনে কাছীর

হাদীস ৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) এক ব্যক্তিকে বলিলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদীস শুনাইব, যাহা শুনিয়া তুমি খুশি হইবে? উত্তরে সে বলিল, হ্যাঁ শুনান। ইবনে আব্বাস (রা) বলিলেন, তুমি নিজে সূরা মূলক পড়, এবং পরিবারের সকলকে ও প্রতিবেশীকে উহা শিক্ষা দাও।কারণ উহা মুক্তিদানকারী ও ঝগড়াকারী। কিয়ামতের দিন আল্লাহর সহিত ঝগড়া করিয়া উহার পাঠকারীকে সে জাহান্নামের আযাব হইতে রক্ষা করিবে এবং কবরের আযাব হইতে বাঁচাইয়া রাখিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “আমার একান্ত কামনা যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গাঁথিয়া থাকুক।” – তাফসীর ইবনে কাছীর

হাদীস ৭। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক। – তিরমিযী (ইফা) ২৮৯১

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

One thought on “সূরা মূলকের ফযীলত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*