আদম (রহঃ) … বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ
১. স্বর্ণের আংটি বা তিনি বলেছেন, স্বর্নের বলয়, ২. মিহি রেশম, ৩. মোটা রেশম ও ৪. রেশম মিশ্রিত কাপড়, ৫. রেশম এর তৈরী লাল রঙের পালান বা হাওদা, ৬. রেশম মিশ্রিত কিসসী কাপড় ও ৭. রূপার পাত্র।
আর তিনি আমাদের সাতটি কাজের আদেশ করেছেনঃ
১. রোগীর শুশ্রুষা, ২. জানাযার পেছনে চলা, ৩. হাঁচির উত্তর দেওয়া (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে), ৪. সালামের জবাব দেওয়া, ৫. দাওয়াত গ্রহন করা, ৬. কসমকারীর কসম পূরনে সাহায্য করা এবং ৭. মাযলূম ব্যাক্তির সাহায্য করা। – সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ৫৪৪৪
হুমায়দ ইবনু মাসআদা (রহঃ) ……. ছাওবান (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন মুসলিম তার কোন রোগী মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে ততক্ষণ যেন জান্নাতের খুরমা বাগানে অবস্থান করে। – সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) ৯৭০
আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ……. ছুওয়ার তৎপিতা আবূ ফাখেতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আলী (রাঃ) আমার হাত ধরে বললেন, আমার সঙ্গে চল, হুসায়ন অসুস্থ, তাকে দেখে আসি। আমরা গিয়ে তাঁর কাছে আবূ মূসা (রাঃ)-কেও পেলাম, আলী (রাঃ) বললেন, আবূ মূসা, রোগী-দর্শনের উদ্দেশ্যে এসেছিলে না এমনি বেড়াতে এসেছ? তিনি বললেন, না, রোগী দেখার নিয়্যাতে এসেছি।
আলী (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিম যদি কোন মুসলিম রোগীকে দেখতে যায় তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দু’আ করেন। আর যদি সন্ধ্যার সময় কোন মুসলিম রোগীকে দেখতে যায় তবে তার জন্য ভোর পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা দু’আ করেন। আর তার জন্য জান্নাতে একটি ফলের বাগান হবে। – সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) ৯৭২






