ইশরাকের নামাযঃ
হাদিস ১। আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে,
যে ব্যক্তি ফযরের নামায আদায় করে সেই স্থানে বসে সূর্য উদয় পর্যন্ত যিকির-আযকার করে। এর পরে দু’ রাকা’আত নামায পড়ে।তাহলে তার আমল নামায় পরিপূর্ণ এক হাজ্জ ও উমরার সওয়াব লিখা হবে। (তিরমিযী:৫৮৬)
হাদিস ২। হযরত নুআইম ইবন হাম্মার রা. বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, হে আদম সন্তান! তোমরা দিনের শুরুতে চার রাকাত সালাত আদায় করো, আমি তোমার জন্য দিনের শেষ পর্ন্ত যথেষ্ট হয়ে যাব। মুসনাদে আহমদ: 37/137; আবু দাউদ, হাদিস 1289; সহিহ ইবনে হিব্বান: 6/275 [হাদিসটি সহিহ]
চাশতের নামাযঃ
ইশরাক আদায়ের পর দিনের এক চতুর্থাংশ যাওয়ার পর (আনুমানিক নয়/দশটার দিকে) যে নামায পড়া হয় তাকে চাশতের নামায বলা হয়। এই নামায দুই থেকে বারো রাকা’আত পর্যন্ত পড়া যায়। তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত: চার রাকা’আত পড়তেন। মাঝে মধ্যে বেশিও পড়তেন।
হাদিস ১। মু’আযা রাযি থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন যে, আমি আয়েশা রাযি কে জিজ্ঞেস করলাম যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাশতের নামায কয় রাকা’আত পড়তেন? তিনি বললেন, চার রাকা’আত। এবং বেশীও পড়তেন (কোন সময়) আল্লাহর চাওয়া অনুযায়ী। (মুসলিম, ইবনে মাযাহ)
হাদিস ২। আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি চাশতের বার রাকাত নামায আদায় করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের বালাখানা নির্মাণ করেন। (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ)
হাদিস ৩। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি চাশতের দুই রাকাত নামাযের হিফাযত করে, তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়। – ইবনে মাযাহ (ইফাঃ) ১৩৮২
হাদিস ৪। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, মানুষের শরীরের প্রত্যেক জোড়ার জন্য একটা সাদাকা ওয়াজিব হয়। যে দেখা করে, তাকে সালাম করা- সাদাকা; কাউকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয়া- সাদাকা; খারাপ কাজ থেকে মানা করা- সাদাকা; রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা- সাদাকা; এমনকি নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও- সাদাকা । তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সে তো নিজের কামস্পৃহা পূরণ করে, এটা সাদাকা হবে কিরূপে ? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যদি সে তা অবৈধ স্থানে চরিতার্থ করে, তবে কি সে গুনাহগার হবে না ? এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ এ সব কিছুর পক্ষ থেকে চাশতের সময় দু’রাকা’আত সালাত আদায় করাই যথেষ্ট।
আওয়াবীনের নামাযঃ
হাদিস ১। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান,
যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকা’আত নামাজ মধ্যিখানে কোন ধরণের খারাপ কথা না বলে আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তাকে বার বছর ইবাদত করার সমতুল্য ছওয়াব দান করবেন। (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ, সহীহ ইবনে খুজায়মা, মু’জামে তাবারানী)






