হাদিস ০১। বিশর ইবনু খালিদ আসকরী (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত শেষ হওয়া জানতে পারতাম তাকবীরের দ্বারা (আল্লাহু আকবার)। – সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) ১৩৩৮, আবু দাউদ হাঃ (ইফাঃ) ১০০৩
হাদিস ০২। ইবনে হিব্বান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে আয়াতুল-কুরসী তিলাওয়াত করে, মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারে না।” – সহীহ ইবনে হিব্বান
হাদিস ০৩। দাঊদ ইবনু রাশীদ (রহঃ) … সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষ করে তিনবার ইস্তিগফার করতেন এবং বলতেনঃ
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমিই শান্তি, কল্যাণময় এবং সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী।”
হাদিস বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেন, আমি আওযাঈকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে ইস্তিগফার করতেন? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ। – মুসলিম শরীফ (ইফা:) ১২২২
হাদিস ০৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম ফিরাতেন, তখন নিচের দোয়াটি পাঠ করার সময় পরিমাণ বসতেনঃ
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি সালাম এবং আপনার থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমান্বিত ও গৌরবময় সত্তা। – সুনানে ইবনে মাজাহ (ইফাঃ) ৯২৪
হাদিস ০৫। উবায়দুল্লাহ ইব্ন আমর (র:) ….. মুআয ইব্ন জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ধরে বলেন, হে মুআয! আল্লাহর শপথ, আমি তোমাকে ভালবাসি। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে কিছু ওসয়িত করতে চাই; তুমি নামায পাঠের পর এটা কোন সময় ত্যাগ করবে না। তা হলঃ
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
অতঃপর মুআয (রাঃ) আল্-সানাবিহীকে এরূপ ওসীয়ত করেন এবং আল্-সানাবিহী আবু আব্দুর রহমানকে এরূপ ওসীয়ত করেন। – গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) ১৫২২, নাসাঈ
হাদিস ০৬। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) এর কাতিব ওয়াররাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) আমাকে দিয়ে মু’আবিয়া (রাঃ) কে (এ মর্মে) একখানা পত্র লেখালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাত এর পর বলতেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
অর্থ: এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, সার্বভোমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। ইয়া আল্লাহ! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আপনার কাছে (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না। – বুখারী শরীফ (ইফা:) ৮০৪
হাদিস ০৭। নাসর ইবনু আলী আল-জাহযামী (রহঃ) … কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিছু দুআ আছে, প্রত্যেক ফরয নামাজের পরে যে ব্যক্তি ঐগুলো পড়ে বা আমল করে সে কখনো নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। দুয়াগুলো হলো তেত্রিশবার তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া বা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করা, তেত্রিশবার তাহমীদ (আল-হামদু লিল্লাহ) পড়া বা আল্লাহর প্রশংসা করা, এবং চৌত্রিশবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পড়া বা আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করা। – মুসলিম শরীফ (ইফা:) ১২৩৮
হাদিস ০৮। আব্দুল হামীদ ইবনু বায়ান আল ওয়াসিতী (রহঃ) … আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে (সুবহানাল্লাহ), তেত্রিশবার আল্লাহর তাহমিদ বা প্রশংসা করবে (আলহামদুলিল্লাহ) এবং তেত্রিশবার তাকবীর বা আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা করবে (আল্লাহু আকবার) আর এইভাবে ৯৯ বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে:
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মত অসংখ্য হলেও মাফ করে দেয়া হয়। – সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) ১২৪০
হাদিস ০৯। আমর ইবনু আলী (রহঃ) … মুসলিম ইবনু আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা প্রত্যেক সালাতের পর বলতেনঃ
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
তারপর আমিও তা বলতে থাকলে আমার পিতা আমাকে বললেন, হে বৎস! তুমি এ দোয়াগুলো কার কাছ থেকে শিখেছ? আমি বললাম, আপনার কাছ থেকে। তারপর তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রত্যেক) সালাতের পর এ দোয়া গুলো বলতেন। – সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) ১৩৫০
হাদিস ১০। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের সালাত আদায় করতেন তখন সালামের পর এই দুআ পড়তেন:
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে উপকারী ইলম, উত্তম রিযিক ও মকবূল আমল চাই। – সুনানে ইবনে মাজাহ (ইফাঃ) ৯২৫






