بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
আলোচ্চ্য নোটে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে:
1. নারী ও পুরুষের পরস্পর কাদের সামনে যাওয়া জায়েজ?
– নারীদের মাহরাম তথা যাদের সাথে দেখা করা জায়েজ
– পুরুষের মাহরাম তথা যাদের সামনে যাওয়া জায়েজ
2. পর্দার হুকুমের অবহেলা সম্পর্কিত কিছু কথা
——————————————————————————
নারী ও পুরুষের পরস্পর কাদের সামনে যাওয়া জায়েজ?
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের একান্নবর্তী পরিবারগুলো পর্দার বিধান লঙ্ঘনের এক উর্বর ক্ষেত্র। গায়রে মাহরাম তথা কাদের সাথে দেখা দেয়া হারাম তা অনেকেই জানি না বা জানলেও মানার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারি না।ভাবি,দেবর, চাচি,মামি, শালি, দুলাভাই,কাজিন ইত্যাদি সম্পর্কগুলো আমাদের কাছে ডাল ভাত।কিন্তু এরাও একজন অপরজনের জন্য গায়রে মাহরাম তথা পরস্পর পরস্পরের সামনে পর্দা করা ফরয।
অথচ একসাথে একই বাসার ছাদের নিচে থাকলে পর্দা রক্ষা করে চলা সম্ভব হয় না। খাওয়ার টেবিলে দেখা, চলতে ফিরতে দেখা, কতোভাবে যে পর্দা লঙ্ঘিত হয় তা আমরা চিন্তা করেও দেখি না। এজন্য ইসলাম একান্নবর্তী পরিবারকে উৎসাহিত করে না। বরং পরিবারে একাধিক সদস্য থাকলে বিয়ের পরে আলাদা বাড়িতে থাকাই সর্বোত্তম পর্দার হুকুম পালনের জন্য। এতে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হয় না বরং মহান আল্লাহ্র হুকুম পালনের ফলে আত্মীয়তার বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
হযরত আয়িশা (রা) হতে বর্ণিত, আমি আমার সে ঘরে প্রবেশ করতাম যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুয়ে আছেন, তখন আমি আমার বড় চাদর নির্দ্বিধায় খুলে রাখতাম আর ভাবতাম
“ইনি হলেন আমার স্বামী আর অপরজন আমার পিতা।।”
পরে যখন হযরত উমর (রা) এই ঘরে দাফন করা হল, আল্লাহের কসম আমি কখনো পুরো শরীর কাপড়ে না ঢেকে সেখানে প্রবেশ করি নি, উমর (রা)কে লজ্জা করার কারণে।।
[মুসনাদে আহমদ, মিশকাত হাদিস নং- ১৬৭৪]
আয়িশা (রা) মৃত পুরুষ থেকে পর্দা করতেন, আর আমাদের মা বোনেরা জীবিত পুরুষ থেকেও পর্দা করে না।।
“আমাকে যেন রাতের বেলায় দাফন করা হয়।। কারণ আমি চাই না দিনের আলোতে কেউ আমার শরীরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ দেখুক”।
—– হযরত ফাতিমা (রা) বিনতে মুহাম্মদ (ﷺ)
আল্লাহু আকবার !!!
১) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
“কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (অর্থাৎ তখন শয়তান তাদের মনে কুমন্ত্রণা দেয়)।”
[জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৭১]
২) রাসুল(ﷺ) ইরশাদ করেন, খবরদার তোমার বেগানা স্ত্রীলোকের ঘরে প্রবেশ করো না। জনৈক সাহাবী জিজ্ঞাসাকরেন ইয়া রাসুলুল্লাহ(ﷺ) স্বামীর ভাইদের(ভাসুর, দেবর, বেয়াই ইত্যাদি) সম্পর্কে কিনির্দেশ? রাসুল(ﷺ) ইরশাদ করেন তারা তো স্ত্রীর জন্য মৃত্যু তুল্য। অর্থাৎ মহাবিপদতুল্য। (তিরমিজিঃ ১/২২০)
৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
“চোখের জিনা হলো তাকানো,মুখের জিনা হলো বলা,কু-প্রবৃত্তি কামনা ও খায়েশ তৈরি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে।”
[সহিহ বুখারী হাদীস নং ৫৮০৯]
৪) আরেক বর্ণনায় এসেছে, মাহরাম পুরুষ ছাড়া যেন কোনো নারী কোনো পুরুষের সাথে নির্জনে মিলিত না হয়।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৪১]
সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ্ কাদের সাথে পর্দা করে চলতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছেন। নারী এবং পুরুষদের যাদের সাথে দেখা করা জায়েজ তাদের একটা লিস্ট দেয়া হলো। এর বাহিরে বাকিদের সাথে শরিয়াতসম্মতভাবে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।
নারীদের মাহরাম তথা যাদের সাথে দেখা করা জায়েজঃ
১-বাপ,দাদা,নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
২-সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ওবৈপিত্রেয় ভাই।
৩-শ্বশুর,আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবংতাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
৪-আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে এবংতাদের ঔরষজাত পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তানদের স্বামী।
৫-স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
৬-ভাতিজা,ভাগিনা তথা সহোদর, বৈমাত্রেয় ওবৈপিত্রেয় ভাই ও বোনের ছেলে ও তাদের অধঃস্থন কোন ছেলে।
৭-আপন চাচা অর্থাৎ বাপের সহোদর, বৈপিত্রেয় ওবৈমাত্রেয় ভাই।
৮-আপন মামা তথা মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ওবৈপিত্রেয় ভাই।
৯-দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, উক্ত ছেলের ছেলে, দুধ সম্পর্কীয়মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়েরস্বামী।
১০-দুধ সম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদেরউর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
১১-দুধ সম্পর্কীয় ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবংতাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
১২-শরীয়ত অনুমোদিত বৈধ স্বামী।
১৩-যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যার মাঝে মহিলাদেরপ্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত বয়স্ক এমন বালক যার মাঝেএখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
উপরোক্ত পুরুষগণ ছাড়া কোন মহিলার জন্যঅন্য কোন পুরুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
পুরুষের মাহরাম তথা যাদের সামনে যাওয়া জায়েজঃ
১-মা।
২-দাদি।,নানী ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু মহিলাগণ।
৩-বোন [আপন হোক বা দুধ বোন বাবৈপিত্রেয় বা বৈমাত্রেয় হোক]।
৪-আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, এবং তাদের গর্ভজাত যেকোন কন্যা সন্তান ও ছেলে সন্তানদের স্ত্রী।
৫-বিবাহিত বৈধ স্ত্রী এবং যে স্ত্রীরসাথে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে তারপূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর কন্যাসন্তান। স্ত্রীর মা অর্থাৎ শ্বাশুরী,দাদী শ্বাশুরী।
৬-ফুপু,তথা পিতার সহোদর বোন, বৈমাত্রেয় ওবৈপিত্রেয় বোন।
৭-খালা তথা মায়ের সহোদর বোন, বৈমাত্রেয় বোন ওবৈপিত্রেয় বোন।
৮-ভাতিজি,তথা সহোদর, বৈপিত্রেয় ওবৈমাত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে তাদের অধঃস্থন কন্যা সন্তান।
৯-ভাগ্নি তথা সহোদর, বৈমাত্রেয় ওবৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের অধঃস্থন কন্যা সন্তান।
১০-দুধ সম্পর্কীয় মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ে ও তাদেরঅধঃস্থন যে কোন কন্যা সন্তান ও দুধ সম্পর্কীয় ছেলের স্ত্রী।
১১-দুধ সম্পর্কীয় মা, খালা, ফুপু, নানী, দাদী ও তাদেরউর্ধ্বতন ক্রমানু মহিলাগণ।
১২-দুধ সম্পর্কীয় বোন, দুধ বোনের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়েএবং তাদের গর্ভজাত যে কোন কন্যা সন্তান।
১৩-যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধা যার প্রতিপুরুষের কোন প্রকার আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত বয়স্কা এমন মেয়ে যারপ্রতি পুরুষের এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
উপরোক্ত মহিলাগণ ছাড়া কোন পুরুষের জন্যঅন্য কোন মহিলার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ নয়। সম্পূর্ণ হারাম।
দলিল
“হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া নাহলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবেতোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো,তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলেযেয়ো, কথাবার্তায়মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীরজন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছেসংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহসত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁরপত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়ালথেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরেরজন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতরপবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকেকষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁরপত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধনয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।
তোমরা খোলাখুলি কিছু বল অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ সর্ব বিষয়েসর্বজ্ঞ।
নবী-পত্নীগণের জন্যে তাঁদের পিতা পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নি পুত্র, সহধর্মিনী নারী এবং অধিকার ভুক্ত দাসদাসীগণের সামনে যাওয়ার ব্যাপারে গোনাহ নেই। নবী-পত্নীগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয়কর। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয় প্রত্যক্ষ করেন।” {সূরা আহযাব-৫৩-৫৫}
“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদেরদৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযতকরে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তাঅবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদেরদৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনঅঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যাসাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদেরসৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেনতাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলেরাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোকঅধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ,ও বালক,যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর,যাতে তোমরা সফলকাম হও।” {সূরা নূর-৩০-৩১}
দ্রষ্টব্য:
সূরা আহযাব-৫৩-৫৫
সূরা নিসা-২৩
সূরা নূর-৩০-৩১
তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন-২/২৫৬-৩৬১
তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন-৬/৪০১-৪০৫
তাফসীরে মাযহারী-২/২৫৪-২৬১ ও ৬/৪৯৭-৫০২
পর্দার হুকুমের অবহেলা সম্পর্কিত কিছু কথাঃ
স্কুল কলেজ লাইফে থাকতে টিভিতে দেখানো ইসলামিক প্রশ্নোত্তরের সবগুলো প্রোগ্রামই দেখা হতো। বয়স আর ইলম কম ছিল বলে তখন পর্দার বিধান সম্পর্কে ধারণা তেমন পরিষ্কার ছিল না।
আসল কথায় আসি। এসব প্রোগ্রামে ম্যাক্সিমাম কলই আসতো মহিলাদের কাছ থেকে। আর টিভি হুজুররাও সুন্দর(!)করে ওইসব প্রশ্নের জবাব দিতেন। আল্লাহ্ মাফ করুন। ওই হুজুরদের বলা উচিত ছিল আপনি আপনার ঘরের পুরুষ কাউকে দিয়ে আপনার প্রশ্ন করুন। অথচ……!
আর টিভির মাধ্যমে এইসব মহিলাদের কণ্ঠ লাখ লাখ মানুষের কানে গিয়ে পৌঁছাত। যতো পুরুষের কানে গিয়েছে সবার গুনাহের একটা অংশ ওই মহিলার ভাগেও গিয়েছে অথচ উনি প্রশ্ন করেছিলেন ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য। অথচ জানতে গিয়ে নিজের অজান্তে নিজেই গুনাহে জড়িয়ে পরেছেন। অথচ তাদের উচিত ছিল বাড়ির পুরুষ কাউকে দিয়ে প্রশ্ন করানো। পুরুষ না থাকলে প্রশ্ন করারই দরকার নেই। আর এইটা অবিশ্বাস্য যে কারো বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য থাকবেন না। শরিয়াত কঠোরভাবে পর্দার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছে। না পারতে পরপুরুষের সাথে কথা বলতেও পর্দার আড়াল থেকে গলার স্বরকে কর্কশ করে কথা বলার আদেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ্ যেন নারীর কোমল কণ্ঠের আওয়াজ শুনে কোন পুরুষের মনে যেন কুমন্ত্রণা সৃষ্টি না হয়। (তাফসির দেখুন সূরা আহযাবঃ৫৩)।
আর আমাদের অনেকের প্রিয় শাইখ উনার প্রোগ্রামে নারীদের প্রশ্ন করারও অপশন রাখেন এবং টিভি স্ক্রিনে লাখ লাখ মানুষ তাদেরকে দেখে। অনেক নন মুসলিম তরুণী ওয়েস্টার্ন ড্রেসেও আসে এবং প্রশ্নও করে। অথচ উচিত ছিল মহিলাদের এইসব প্রশ্ন কাগজে লিখে কোন পুরুষকে দিয়ে পড়ে শোনানো। এভাবেই দ্বীনের ব্যাপারে ছোট ছোট ছাড় মানুষকে বড় গুনাহের দিকে নিয়ে যায়।
খবর দেখার নামে কোন পুরুষের জন্য যেমন বেগানা সংবাদ পাঠিকাকে দেখা হারাম ঠিক তেমনি ইসলামি প্রোগ্রাম দেখার নামে কোন নারীর ডাঃ জাকির নায়েক, নুমান আলি খান দের দেখাও হারাম। পুরুষ পুরুষদের এবং নারী কেবলমাত্র নারীদের দেখতে পারবে।
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা(রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি এবং মাইমুনা(রাঃ) রাসুল(ﷺ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় অন্ধ সাহাবী ইবনে উম্মে মাখতুম(রাঃ) সেখানে আসতে লাগলেন। তখন রাসুল(ﷺ) বললেন তোমরা তার থেকে পর্দা করো, আড়ালে চলে যাও। আমি বললাম ইয়া রাসুলুল্লাহ তিনি তো অন্ধ। তিনি তো আমাদের দেখতে পাচ্ছেন না। তখন রাসুল(ﷺ) বললেন তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাচ্ছো না? (আবু দাউদ ২/৫৬৮)
ইসলাম সম্পর্কে বাড়ির মহিলাদের জানাতে হলে ইসলামি কিতাব কিনে দিন। নিজেরা মাসজিদ থেকে তাফসির ও তালিম যা শুনে আসেন তা তাদের মধ্যে শোনান। ঘরে হাদিসের তালিম করুন।
ওয়াল্লাহি। দ্বীনের খেদমত করতে গিয়ে দ্বীনের কোন বিধানকে হালকা করে, ছাড় দিয়ে যদিও কিছুটা উপকার দেখা যায়, তবে এই উপকার স্থায়ী নয়। বরং ক্ষতিই করবে। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে পর্দার বিধান যথাযথভাবে বুঝার এবং মেনে চলার তাওফিক দান করুন।
পর্দার বিধানঃ ১ম পর্বের লিঙ্ক: Click Here
চলবে………………………………
পরবর্তী নোটে যে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা থাকবে ইনশাল্লাহ:- হাদিসের আলোকে পর্দা না করার শাস্তি
[This article written and compiled by Brother Sabet Bin Mukter and Published in his Facebook Account]







অনেকেই বলছে দুলাভাই শালি ভাই বোনের মতো সম্পর্ক, এই বিষয়ে জানতে চাই
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। বাকি আমাদের এই সাইটটি কোনো অনলাইন মাসালা দেয়ার সাইট নয় বলে সবচেয়ে উত্তম হবে মাসিক আল-কাউসার এর ফতোয়া বিভাগে যোগাযোগ করে জেনে নিলে। যার ফোন নাম্বার সহ অন্যান্য তথ্য নিচের লিংক এ গেলে পাওয়া যাবে।
https://www.alkawsar.com/bn/about/contact-us/
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ও উপকারী ইলম সঠিক ভাবে জানার ও মানার ব্যবস্থা করে দেন।