আয়াত ১।
وَ فَرِحُوْا بِالْحَیٰوةِ الدُّنْیَا وَ مَا الْحَیٰوةُ الدُّنْیَا فِی الْاٰخِرَةِ اِلَّا مَتَاعٌ
কিন্তু এরা পার্থিব জীবনে উল্লসিত, অথচ দুনিয়ার জীবন আখেরাতের তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র। -সূরা রা‘দ (১৩) : ২৬
হাদিস ১। ইবনে সা‘দ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “দুনিয়ার মূল্য যদি আল্লাহর কাছে মশার ডানা বরাবর হত তাহলে আল্লাহ কোনো অবিশ্বাসী কাফেরকে এক ঢোক পানিও পান করতে দিতেন না।” -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৩২০
হাদিস ২। জাবের রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে গেলেন। তিনি একটি খাটো কানবিশিষ্ট মৃত ছাগলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এর কান ধরে বললেন, কে আছ মাত্র এক দিরহামের বিনিময়ে এটা নিবে? সাহাবীগণ বললেন, সামান্য কিছুর বিনিময়েও কেউ এটা নিতে পছন্দ করবে না। আমরা এটা নিয়ে কী করব? এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বিনামূল্যেও কি কেউ এটা নিতে পছন্দ করবে? সাহাবীগণ বললেন, এটা তো খাটো কানবিশিষ্ট। জীবিত হলেও এটি একটি ত্রুটি; সেখানে মৃত?! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহর কসম! তোমাদের কাছে এটা যেমন মূল্যহীন, আল্লাহর কাছে দুনিয়া এর চেয়েও মূল্যহীন। “-সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৫৭
হাদিস ৩। আবু মুসা আশয়ারী (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি দুনিয়া লাভ করতে বেশি পছন্দ করে, সে তার আখিরাত লাভ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, আর যে ব্যক্তি আখিরাতকে অর্জন করতে মহব্বত করে, তাকে অবশ্যই দুনিয়া অর্জন করতে লোকসান দিতে হবে। সুতরাং, তোমরা যা চিরস্থায়ী তার অর্জনকে ক্ষণস্থায়ী বস্তুর অর্জনের উপর প্রাধান্য দাও”। – মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং- ১৯১৯৮





