হাদিস ১। আবূ হূরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন , আমার বন্ধু (রাসূল ﷺ) আমাকে তিনটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন , প্রতি মাসে তিন দিন করে সাওম পালন করা এবং দু’রাকআত সালাতুয -যুহা এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতর সালাত আদায় করা।
[বুখারী শরীফ (ইফা) :: হাদিস ১৮৫৭]
হাদিস ২। রাসূল ﷺ বলেছেনঃ
কেউ যদি প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন করে তবে তা যেন সারা বছরই সিয়াম পালন করা হলো। এর সমর্থনে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে আয়াত নাযিল করলেনঃ
من جاء بالحسنة فله عشر امثالها
– (অর্থ) কেউ যদি একটি নেক কাজ করে তবে তার প্রতিদান হলো এর দশগুণ।
সুতরাং এক দিন দশ দিনের সমান।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস ৭৬০]
হাদিস ৩। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছিলেন,
হে আবূ যার! প্রতি মাসে যদি তিন দিন সিয়াম পালন করতে চাও তবে তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালন করো।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস ৭৫৯]
হাদিস ৪। ইবন মিলহান আল-কায়সী তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে ইয়াওমিল বীয্ অর্থাৎ চন্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোযা রাখার নির্দেশ দিতেন। তিনি (ইবন মালহান) বলেন, তিনি বলেছেনঃ এ রোযাগুলোর মর্যাদা (ফযীলত) সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য।
[আবু দাউদ শরিফ (ইফা) :: হাদিস ২৪৪১]
হাদিস ৫। হযরত ইবনে আববাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, সবরের মাসের (রমযান মাস) রোযা এবং প্রতি মাসের তিন দিনের (আইয়্যামে বীয) রোযা অন্তরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেয়।
[মুসনাদে বাযযার ১০৫৭; মুসনাদে আহমদ ২৩০৭০; সহীহ ইবনে হিববান ৬৫২৩]
হাদিস ৬। হযরত হাফসা (রাঃ) বর্ণনা করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা এবং প্রতি মাসের তিন রোযা কখনো ছাড়তেন না।” –মুসনাদে আহমাদ ২৫৯২০





